,

বর্ষা চিন্তা করে প্রকল্প হাতে নেন দুর্নীতিবাজরা- পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক

শেখ হাসিনা জনগণের চিন্তা করেন

মতিউর রহমান মুন্না ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের কুশিয়ারা নদীর ভাঙন পরির্দশন করেছেন পানিসম্পদ মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক এমপি। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে তিনি সরেজমিনে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাবৃন্দদের সঙ্গে নিয়ে পায়ে হেটে ভাঙনকৃত এলাকা পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক এমপি সাংবাদিকদের বলেছেন, বর্ষা চিন্তা করে প্রকল্প গ্রহণ করেন দুর্নীতিবাজরা। কিন্তু বর্তমান সরকার দুর্নীতিমুক্ত। তাই বড় প্রকল্প গ্রহণের উদ্যোগ নিয়েছে। পৃথিবীর সব দেশের চেয়ে বাংলাদেশের মাটি নরম। যে কারণে জিও ব্যাগ এবং ব্লক দেওয়ার পরও নদীর বাঁধ রা করা যায় না। তাই বৃহৎ প্রকল্পের মাধ্যমে নদী শাসনের বিকল্প নেই। জাহিদ ফারুক বলেন, কুশিয়ারা নদীর ভাঙনে বিস্তৃীর্ণ এলাকা যাতে নদীগর্ভে বিলীন না হয়, তাই পুরো নদীকে ঘিরে বৃহৎ প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। ৩০ মিটার ভেতর থেকে বাঁধ রার কাজ টেকসই নয় বলে প্রমাণিত হয়েছে। তাই এখন থেকে ৭০ মিটার ভেতর থেকে নদী শাসন প্রকল্পের কাজ শুরু করা হবে। আসন্ন ঘূর্ণিঝড় ও বর্ষা মৌসুমে কুশিয়ারার ভাঙন মোকাবেলায় প্রকল্প গ্রহণ করা হবে কি না জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্ষা চিন্তা করে প্রকল্প গ্রহণ করে দুর্নীতিবাজরা। কিন্তু বর্তমান সরকার দুর্নীতিমুক্ত। তাই বড় প্রকল্প গ্রহণের উদ্যোগ নিয়েছে। পুরো টিমকে সঙ্গে নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকল্প অল্প সময়ে হয় না। সু-পরিকল্পনা ও চিন্তা-ভাবনার মাধ্যমে প্রকল্প হাতে নিতে হবে। পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন- সংসদ সদস্য গাজী মোহাম্মদ শাহ নেওয়াজ মিলাদ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক মাহফুজুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব মাহমুদুল হাসান, প্রধান প্রকৌশলী নিজামুল হক ভূঁইয়া, যুগ্ম প্রধান মন্টু কুমার বিশ্বাস, হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ফজলুল জাহিদ পাভেল, হবিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী তাওহীদুল ইসলাম, মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক আব্দুস শহিদ, নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদ-বিন-হাসান, থানার ওসি ইকবাল হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দফতর সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ ফখরুজ্জামান, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও জেলা পরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট সুলতান মাহমুদ, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ইমদাদুর রহমান মুকুল, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব সাইফুল জাহান চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ মিলু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু সিদ্দিক, বর্তমান যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী ওবায়দুর কাদের হেলাল, এড. মুজিবুর রহমান কাজল, ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদ এওলা, মুহিবুর রহমান হারুন, পৌর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ওহি দেওয়ান চৌধুরী, দীঘলবাক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সালেহ আহমদ প্রমুখ।  পরে স্থানীয় দীঘলবাক উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ মাঠে বিশাল জনসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আজিজুল হক শিবলির সভাপতিত্বে এবং রুয়েল আহমদ ও আব্দুল খালেক এর পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক এমপি। এসময় তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন নদী ভাঙনের মূল কারণ। এ বালু উত্তোলন বন্ধ করতে হবে। নদীমাতৃক আমাদের দেশে নদী ভাঙন একটি বড় সমস্যা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বিষয়ে বিশেষ দৃষ্টি দিয়েছেন। উল্লেখ্য, হবিগঞ্জের তিনটি উপজেলার দুই শতাধিক গ্রামের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে কুশিয়ারা নদীর ভাঙনের শিকার হচ্ছেন। প্রতি বছর ১৫ মিটার করে জনপদ নদীতে যাচ্ছে। নবীগঞ্জ উপজেলার দীঘলবাক গ্রামের পুরোটাই চলে গেছে নদীতে। অনেক হাট বাজার এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও বিলীন হয়েছে নদীতে। বিলীন হওয়ার পথে অনেকের বাড়িঘরও।


     এই বিভাগের আরো খবর